জয়পুরহাটের শয়নকক্ষ থেকে মোস্তাকিম নামে গলায় ফাঁস দেওয়া এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার ভাদশা বড় মাঝি পাড়া এলাকার তার নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তাকিম একই এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। মোস্তাকিমের স্ত্রী রিয়া কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
স্বজনরা জানান, গত ২ মাস আগে পাশের উপজেলা ধামুরহাট এলাকার মানপুর গ্রামের বাবু সরদারের মেয়ে রিয়ার সাথে মোস্তাকিমের বিয়ে হয়।
শশুর বাড়িতে রিয়া এসে পারিবারিক কোলহ করে বাবার বাড়িতে চলে যায়। এর পর গতকাল ১৬ ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার পারিবারিক ভাবে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বৈঠক করে রিয়ার বাড়ি থেকে মোস্তাকিমের বাড়িতে সন্ধ্যায় নিয়ে আসে।
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর মোস্তাকিম তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। হটাৎ করে দেড় টার দিকে রিয়ার চিৎকারে শশুর শাশুরী ও প্রতিবেশিরা এসে দেখেন ঘরের তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ । স্ত্রী রিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ঘটনার স্থল থেকে গায়েব৷
জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, মোস্তাকিমের পরিবারের সন্দেহর জেড়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে৷ জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন কিছুুই বলা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু মোস্তাকিমের বাবা হামিদুল বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্ততি নিয়েছেন বলেও ওসি জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।